"সাক্ষী থাকুক শাল, অশ্বত্থ বটের পেয়াদারা,
সাক্ষী থাকুক ছাতিম-পলাশ-বুনো ফুলের ঘ্রাণ ;
সাক্ষী থাকুক কাদায় আঁকা আহত এক থাবা,
সাক্ষী থাকুক হাজার বছর হাওয়ার গোরস্থান ;
সাক্ষী থাকুক মৃগ-নাভীর কস্তুরি ভোরবেলা,
সাক্ষী থাকুক সাঁওতালি ক্ষোভ, যক্ষ পিশাচ দল ;
সাক্ষী থাকুক বাদুর-ময়ূর উলুধ্বনির খেলা,
সাক্ষী থাকুক পাতার পুরুত, হোমের দাবানল!"
সাক্ষী ছিল অশ্বত্থতল, বাগানবিলাস ছায়া,
সাক্ষী ছিল পুজোর ভিড়ে নীলচে শাড়ির মায়া ।
সাক্ষী ছিল ঝর্ণা কলম, হলদে চিঠির খাম,
সাক্ষী ছিল চুলের মাঝে চিবোনো চুইংগাম ।
সাক্ষী ছিল অস্তরাগে সাবধানী চুম্বন,
সাক্ষী ছিল কোকিলডাকা একলা শালের বন।
সাক্ষী ছিল চিঠির ছাই আর শেষ সেবারের দেখা,
সাক্ষী ছিল ধার নেওয়া সেই বাংলা সহায়িকা।
সাক্ষী ছিল স্তব্ধ ঘরে রক্তিম এক ছুরি,
সাক্ষী ছিল ছাদের কোণে একলা ভেজা ঘুড়ি।
সাক্ষী ছিল মেঘের তলায় মুখ লুকোনো তারা।
সাক্ষী দেয়নি কাজলনয়ন, বিফল অশ্রুধারা।